নানা বিষয়ে বেইজিংয়ের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা বিশ্বের উত্তেজনা বেড়েছে। এই অবস্থায় বিরোধপূর্ণ দক্ষিণ চীন সাগরে তিনটি চীনা দ্বীপপুঞ্জ আক্রমণ করার পরিকল্পনা করছে মার্কিন সেনারা। চীন হুঁশিয়ারি দিয়ে জানিয়েছে যে, তারা দক্ষিণ চীন সাগরে অবস্থিত দেশটির সুরক্ষিত দ্বীপপুঞ্জে মার্কিন বিমানবাহিনীর যে কোনো আক্রমণকে পাল্টা জবাব দিয়ে মোকাবিলা করবে। চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।
রোববার দেশটির কমিউনিস্ট পার্টির বরাত দিয়ে গ্লোবাল টাইমস জানিয়েছে, ওয়াশিংটন যদি ভাগ্য পরিক্ষা করতে চায়, তবে চীনা সামরিক এবং চীনা জনগণ অবশ্যই চ্যালেঞ্জের সামনে দাঁড়াবে এবং শেষ পর্যন্ত লড়াই করবে।
যুক্তরাষ্ট্র দক্ষিণ চীন সাগরের তিনটি দ্বীপে যদি কোনো ধরণের ড্রোন হামলা চালায় তবে সেটি ভারী মূল্য পরিশোধ করবে বলে ঘোষণা দিয়েছে চীন।
গ্লোবাল টাইমস বলেছে, মার্কিন সামরিক বাহিনী যদি কোনো আক্রমণ চালায় তবে চীনা জনগণের লিবারেশন আর্মি (পিএলএ) অবশ্যই লড়াই করবে।
চীনের সংবাদমাধ্যম দাবি করেছে যে ট্রাম্প প্রশাসন “সামরিক সংকট তৈরি করে” তাদের পুনর্নির্বাচনের প্রচারকে আরো বাড়ানোর চেষ্টা করতে পারে। তবে চীন আক্রমণকারীদের বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানাবে এবং এমন শিক্ষা দেবে যে তারা কখনো ভুলতে পারবে না।
সংবাদমাধ্যমটিতে আরো বলা হয়েছে, আসন্ন মার্কিন যুদ্ধবিমানগুলো যদি চীনা দ্বীপগুলোর প্রকৃত ক্ষতি করে তবে চীন সেই বিমানগুলোর প্ল্যাটফর্ম এবং ঘাঁটিকে আঘাত করবে। প্রয়োজনে গুলিও করবে বলে জানান।
চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং দাবি করেছেন যে, তার দেশের প্রায় পুরো দক্ষিণ চীন সাগরের মালিকানার ঐতিহাসিক অধিকার রয়েছে। তবে সম্পদ সমৃদ্ধ এ সমুদ্র অঞ্চলটি “নন-ড্যাশ লাইন” দ্বারা চিহ্নিত করা হয়েছে।
এদিকে ২০১৬ সালের একটি আন্তর্জাতিক সালিসি আদালত জানিয়েছে যে বেইজিংয়ের দাবিটির আন্তর্জাতিক আইনের অধীনে কোনো আইনি ভিত্তি ছিল না।
সূত্র: এক্সপ্রেস ইউকে
Leave a Reply